DEV Community

Ehtisam Haq
Ehtisam Haq

Posted on

Essential Technologies for a Backend Developer - Bangla

Future Backend Defender!

ওয়েব ডেভেলপমেন্ট ফিল্ডে এসে আমাদের অনেকের মাঝেই ব্যাকেন্ড ডেভেলপমেন্ট নিয়ে ফ্যাসিনেশন কাজ করে। কিন্তু ব্যকেন্ড টেকনলজি নিয়ে সঠিক ধারনা না থাকার কারনে, অনেকেই ব্যাকেন্ড ডেভেলপার হউয়ার মিশন থেকে ছিটকে পরেন। But trust me আপনি যদি একবার ব্যাকেন্ড টেকনোলোজির প্রেমে পরে যান, তাহলে এর থেকে সহজে বের হতে পারবে না।

ও আচ্ছা ডেভেলপমেন্টে ব্যাকেন্ড বলতে কি বুঝানো হয় সেটাই তো বলা হয় নি! আপনি সহজ ভাষায় ব্যাকেন্ড কে ওয়েব এপ্লিকেশনের হার্ট/হৃৎপিণ্ড বলতে পারেন। হার্ট যেমন আমাদের দেহের অনেক গুরুত্ব পূর্ণ অংশ, অনেক গুরু দায়িত্ব পালন করে, কিন্তু সার্ফেস থেকে সেটা কে ধরা বা ছোঁয়া যায় না, ঠিক তেমনি ব্যাকেন্ডও ওয়েবসাইটের লজিক, ডাটাবেস ম্যানেজমেন্ট এবং সার্ভার-সাইড প্রোগ্রামিং এর মতো গুরুত্বপূর্ণ কাজ সম্পাদন করে। ব্যবহারকারীরা সরাসরি ব্যাকেন্ড দেখতে পায় না, ওয়েবসাইট গুলো মুলত ব্যাকেন্ড টেকনোলোজির উপর ভিত্তি করে কাজ করে।

তাহলে সকল ওয়েবসাইটেই কি ব্যাকেন্ড থাকে?

উত্তর খুব সহজ, সকল ওয়েবসাইটেই ব্যাকেন্ড থাকে না। এখন আপনি বলতেই পারেন, এতক্ষন অনেক গুণগান করলেন কিন্তু এবারে তো আমার মোটিভেশন টাই নষ্ট করে দিলেন!

ohh no! আপনি ধরুন একটি একটি ল্যন্ডিং পেজ বা স্ট্যাটিক ওয়েব সাইট বানাচ্ছেন। এই ধরনের ওয়েবসাইট গুলতে ডাটা চেঞ্জ হউয়ার সম্ভাবনা খুবি কম থাকে, আপনি HTML, CSS এবং JavaScript ব্যবহার করে সহজেই সেটি ম্যানেজ করতে পারবেন।

কিন্তু ধরুন, আপনি একটি ব্যাংক, হাস্পাতাল, ই-কমার্স বা শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের ওয়েব সাইট বানাচ্ছেন। যেই সাইট গুলোতে প্রতিদিন শত শত ইউজার ভিজিট করবে, ডাটা ডাইন্যামিক্যালি চেঞ্জ হবে, ইউজার ডাটা ইনপুট দিতে পারবে, ইউজারের ডাটা ডাটাবেজে স্টোর করতে হবে। সেক্ষেত্রে আপনি এই কর্মযজ্ঞ স্ট্যাটিক ওয়েবসাইটের মত করে ম্যানেজ করতে পারবেন না। অবশই আপনার এজন্য ব্যাকেন্ড এপ্লিকেশন থাকা লাগবে, যার মাধ্যমে আপনি এসকল কার্যক্রম ম্যানেজ করতে পারবেন।

এখন ব্যাকেন্ড এপ্লিকেশন তৈরির জন্য অবশ্যই আপনাদের ব্যাকেন্ড টেকনোলোজি সম্পর্কে জ্ঞান থাকা লাগবে। তাই চলুন ব্যকেন্ড টেকনোলোজি সম্পর্কে জানার চেষ্টা করি।

Programming Language

প্রথমেই আলোচনা করি প্রোগ্রামিং লুয়াঙ্গুয়েজ নিয়ে। ব্যাকেন্ড এপ্লিকেশন আপনি বিভিন্ন ধরনের ল্যাংগুয়েজ দিয়ে তৈরি করতে পারবেন।

  • Python: ডেটা সাইন্স, মেশিন লার্নিং এবং ওয়েব ডেভেলপমেন্টের জন্য জনপ্রিয়।
  • Java: স্কেলেবল এবং এন্টারপ্রাইজ অ্যাপ্লিকেশনের জন্য জনপ্রিয়।
  • JavaScript: Node.js ব্যবহার করে সার্ভার-সাইড প্রোগ্রামিংয়ের জন্য জনপ্রিয়।
  • PHP: ওয়ার্ডপ্রেসের মতো CMS এর জন্য জনপ্রিয়।
  • Ruby: Rails ব্যবহার করে ওয়েব অ্যাপ্লিকেশন তৈরির জন্য জনপ্রিয়।

সব গুলো টেকনোলোজি নিজের স্ট্যাকে অনেক জনপ্রিয়। কিন্তু আমরা যেহেতু JavaScript ব্যাকগ্রাউন্ডের তাই আমরা এটি নিয়ে জানবো।

JavaScript দিয়ে কিভাবে ব্যাকেন্ড এপ্লিকেশন তৈরি করে?

JavaScript শুধুমাত্র ফ্রন্ট-এন্ড ডেভেলপমেন্টের জন্য নয়, ব্যাকেন্ড অ্যাপ্লিকেশন তৈরির জন্যও ব্যবহার করা যেতে পারে। Node.js ব্যবহার করে JavaScript-এর মাধ্যমে স্কেলেবল এবং উচ্চ-পারফরম্যান্স ওয়েব অ্যাপ্লিকেশন তৈরি করা সম্ভব।

Node.js:

Node.js হলো JavaScript-এর একটি রানটাইম ইনভাইরন্মেন্ট যা JavaScript-কে সার্ভার-সাইডে ব্যবহার করার উপযোগী করে তুলে। এর মানে হলো, আপনি এখন JavaScript ব্যবহার করে ওয়েবসাইট এবং অ্যাপ্লিকেশনের ব্যাকএন্ড তৈরি করতে পারেন, যা আগে শুধুমাত্র PHP, Java, Python, Ruby, .NET, C++ ইত্যাদির মতো ভাষা ব্যবহার করে করা সম্ভব ছিল।

সাধারণত JavaScript দিয়ে ব্যাকেন্ড এপ্লিকেশন তৈরিতে Node.js এর অতি জনপ্রিয় একটি ফ্রেমওয়ার্ক ইউজ করা হয়। যার নাম হচ্ছে Express.js. এর মাধ্যমে অনেক সহজে স্কেলেবল ব্যাকেন্ড এপ্লিকেশন তৈরি করা যায়। সেই সাথে node এর বৃহৎ একটি প্যাকেজ ম্যানেজার আছে যার নাম npm → Node Package Manager. এর মাধ্যমে ডেভেলপারদের Node.js অ্যাপ্লিকেশনের জন্য থার্ড-পার্টি প্যাকেজ ইনস্টল, ম্যানেজ এবং আপডেট করা যায়। npm-এ লক্ষ লক্ষ প্যাকেজ রয়েছে যা বিভিন্ন ধরণের কার্যকারিতা প্রদান করে।

Node.js ব্যবহারের সুবিধা:

  • দ্রুত এবং উচ্চ-পারফরম্যান্সের অ্যাপ্লিকেশন তৈরি করা সম্ভব।
  • স্কেলেবল অ্যাপ্লিকেশন তৈরি করা সহজ।
  • অ্যাসিঙ্ক্রোনাস অপারেশন সহজেই পরিচালনা করা সম্ভব।
  • JavaScript-এর জ্ঞান থাকলে Node.js শেখা সহজ।
  • Node.js-এর জন্য একটি বৃহৎ এবং সক্রিয় কমিউনিটি রয়েছে, যেকোনো সমস্যায় সেখান থেকে হেল্প নেয়া যায়।

Node.js ব্যবহার করে তৈরি করা কিছু জনপ্রিয় অ্যাপ্লিকেশন:

  • Netflix
  • Uber
  • PayPal
  • eBay
  • LinkedIn

Backend Development using other Programming Languages

এই পর্যায়ে, আমরা Node.js এবং JavaScript ছাড়াও অন্যান্য জনপ্রিয় প্রোগ্রামিং ভাষা ব্যবহার করে ব্যাকেন্ড ডেভেলপমেন্ট সম্পর্কে আলোচনা করবো।

Python:

  • ব্যাকেন্ড ডেভেলপমেন্ট: Python একটি জনপ্রিয় general-purpose ভাষা যা ব্যাকেন্ড ডেভেলপমেন্টের জন্য ব্যাপকভাবে ব্যবহৃত হয়।
  • ফ্রেমওয়ার্ক: Django, Flask, Pyramid
  • প্যাকেজ ম্যানেজার: pip
  • কমিউনিটি সাপোর্ট: Python-এর একটি বিশাল এবং সক্রিয় কমিউনিটি রয়েছে।
  • কাঁদের জন্য উপযোগী: Python শেখা তুলনামূলকভাবে সহজ, সহজে নতুনদের শেখার উপযোগী।

Java:

  • ব্যাকেন্ড ডেভেলপমেন্ট: Java একটি robust এবং scalable ভাষা যা enterprise-level অ্যাপ্লিকেশন তৈরির জন্য ব্যাপকভাবে ব্যবহৃত হয়।
  • ফ্রেমওয়ার্ক: Spring Boot, Spring MVC, Struts
  • প্যাকেজ ম্যানেজার: Maven
  • কমিউনিটি সাপোর্ট: Java-এর একটি বিশাল এবং সক্রিয় কমিউনিটি রয়েছে।
  • কাঁদের জন্য উপযোগী: Java শেখা Python-এর তুলনায় একটু বেশি কঠিন হতে পারে।

C#:

  • ব্যাকেন্ড ডেভেলপমেন্ট: C# .NET Framework-এর জন্য Microsoft-এর তৈরি একটি ভাষা।
  • ফ্রেমওয়ার্ক: ASP.NET Core, Entity Framework
  • প্যাকেজ ম্যানেজার: NuGet
  • কমিউনিটি সাপোর্ট: C#-এর একটি বৃহৎ এবং সক্রিয় কমিউনিটি রয়েছে।
  • কাঁদের জন্য উপযোগী: C# শেখা Python বা Java-এর তুলনায় একটু বেশি কঠিন হতে পারে।

PHP:

  • ব্যাকেন্ড ডেভেলপমেন্ট: PHP ওয়েব ডেভেলপমেন্টের জন্য একটি জনপ্রিয় ভাষা যা WordPress এর মতো জনপ্রিয় CMS সিস্টেমের জন্য ব্যবহৃত হয়।
  • ফ্রেমওয়ার্ক: Laravel, CodeIgniter, Symfony
  • প্যাকেজ ম্যানেজার: Composer
  • কমিউনিটি সাপোর্ট: PHP-এর একটি বৃহৎ এবং সক্রিয় কমিউনিটি রয়েছে।
  • কাঁদের জন্য উপযোগী: PHP শেখা Python বা Java-এর তুলনায় একটু বেশি কঠিন হতে পারে।

আপনার প্রয়োজনীয়তা, দক্ষতা এবং পছন্দের উপর নির্ভর করে আপনার জন্য সঠিক প্রোগ্রামিং ল্যাংগুয়েজ গুলো শিখতে পারেন।

Database

বিষয় হচ্ছে শুরুতেই ব্যাকেন্ড এপ্লিকেশনের মাধ্যমে “ডাটা ডাইন্যামিক্যালি চেঞ্জ হবে, ইউজার ডাটা ইনপুট দিতে পারবে, ইউজারের ডাটা ডাটাবেজে স্টোর হবে” ইত্যাদি বলেছি। কিন্তু প্রশ্ন হচ্ছে এতক্ষন তো সার্ভার নিয়ে কথা হলো, ডাটা ম্যানেজ করবো কিভাবে?

ডাটাবেজ ম্যানেজমেন্টের সিস্টেম কে আমরা DBMS বলে থাকি। DBMS এর পূর্ণরূপ হচ্ছে Database Management System. Node.js এর সাথে সাধারণত আমরা সকল ধরনের DBMS এর সাথে কাজ করতে পারি। অতিপরিচিত এবং ব্যবহৃত DBMS গুলো হচ্ছেঃ MySQL, PostgreSQL, MongoDB, Oracle, MariaDB ইত্যাদি।

DBMS সাধারণত দুই ধরনের হয়ে থাকেঃ

  • SQL Database:
    • MySQL, PostgreSQL, Oracle, MariaDB ইত্যাদি SQL Database.
    • এধরনের ডাটাবেজ ম্যানেজমেন্ট সিস্টেমকে RDBMS (Relational Database Management System) বলা হয়ে থাকে।
    • Table আকারে Structured ডেটা স্টোর করা যায়।
  • NoSQL Database:
    • MongoDB, Cassandra, Firebase ইত্যাদি NoSQL Database.
    • JSON এর মতো সহজবোধ্য ফর্ম্যাটে ডাটা স্টোর করতে পারবেন।
    • Unstructured ডেটা স্টোর করার জন্য উপযুক্ত।

SQL এবং NoSQL দুটি ভিন্ন ধরণের ডাটাবেস। আপনার প্রয়োজনের উপর নির্ভর করে কোন ডাটাবেস ব্যবহার করবেন তা নির্ধারণ করতে হবে।

ডেটা ম্যানেজমেন্ট টুল:

  • SQLyog, MySQL Workbench, DataGrip - ডাটাবেসের ম্যানেজমেন্ট এর জন্য।
  • NoSQLBooster, Studio 3T - NoSQL ডাটাবেসে ম্যানেজমেন্ট এর ****জন্য।

API Testing Tools

ব্যাকেন্ড এপ্লিকেশনের জন্য API টেস্টিং অনেক গুরুত্বপূর্ণ। API টেস্ট করার জন্য কিছু জনপ্রিয় টুল হচ্ছে Postman, Thunder Client, hopscotch, ApiDog, SoapUI ইত্যাদি।

অন্যান্য গুরুত্বপূর্ণ বিষয়:

  • Version Control: Git ব্যবহার করে কোড ম্যানেজ করতে পারেন।
  • Testing: Unit testing, integration testing এবং end-to-end testing করতে পারেন।
  • Deployment: Heroku, AWS, Google Cloud Platform-এর মতো প্ল্যাটফর্মে অ্যাপ্লিকেশন ডেপ্লয় করতে পারেন।

আপনার ব্যাকেন্ড জার্নিকে সুগম করতে আজকেই টেকনোলোজি এবং টুল সমুহ এক্সপ্লোর করা শুরু করে দিন। ব্যাকেন্ড ডেভেলপমেন্ট শেখা রাতারাতি হয় না। ধৈর্য ধরুন, নিয়মিত অনুশীলন করুন।

আপনার ব্যাকেন্ড ডেভেলপমেন্ট জার্নিতে আপনাকে শুভকামনা!

Top comments (0)