কম্পিউটারের সামনে বসে থাকতে থাকতে বিরক্ত হয়ে গেছি। ব্রেন টার একটু রিফ্রেসমেন্ট দরকার। তাই বিকাল বেলা একটু হাটতে বের হলাম। রাস্তা দিয়ে হাটছি। আশে পাশে গাড়ির বিকট শব্দ। এসব শব্দ কানের রারো টা বাজিয়ে দিচ্ছে। একটু শান্তি খুজতে এসে বড় অশান্তির আগমন। তাই শহর থেকে একটু দূরে চলে আসলাম এখানে কোন গাড়ির বিকট শব্দ নেই। মনোরম পরিবেশ। জায়গা টা একটু জঙ্গলের মত । আশে পাশে অনেক গাছপালা রয়েছে। গাছগুলো আকারে অনেক বড়। আনুমানিক বয়স ৩০-৪০ বছর তো হবে। কয়েক টা আছে যে গুলো আকারে একটু ছোট। ১০-১৫ বছর বয়স হবে হয়ত।
জায়গা টা দারুন লাগছে। বসন্তের শুরুতে এখানে এসেছি। মৃদ হাওয়াও বইছে। শরীরে যখন পড়ছে, প্রানে অদ্ভুত শিহরনের সৃষ্টি হচ্ছে। ভালোই লাগছে। সাথে বিশেষ কেউ থাকলে আরেকটু ভালোই হত। কিছুক্ষন হাটাহাটির পর দেখি একটা ভাঙ্গা বাড়ি। অনেক পুরাতন ,আনুমানিক ৫০-৬০ বছর আগের বাড়ি হবে। বাড়ি একটু পর্যবেক্ষন করার ইচ্ছা হল। তাই বাড়ি টার ভেতরে ঢুকে পড়লাম। ভিতর টা কিছুটা অন্ধকার। বাড়ির ভিতরে কিছুক্ষন ঘুরাঘুরির পর গোলাকার আকৃতির একটা পয়সার মত কিছু একটা দেখি নিচে পড়ে আছে। এই টা আবার কি জিনিস। হাত দিয়ে উঠালাম দেখতে অনেক টা একটার কয়েন এর মত তবে একটু মোটা। জিনিস টা কি হতে পারে?
এক সেকেন্ড আমি এখানে ঘুরতে এসেছি। এসব জিনিশ নিয়ে মাথাই চাপ দেওয়ার কোন মানেই হয় না। এ জন্য বস্তুটাকে পকেটে ভরে ঘোরাঘুরি শুরু করে দিলাম।
যাই হোক ভালোই লাগছে । ব্রেন সম্পূর্ন ফ্রেস হয়ে গেছে। হঠাত মনে পড়ল আজ তো একটা ব্লগ পাবলিস করার কথা ছিল। কিন্তু আমি তো সম্পূর্ন ভুলে গেছি। কোন কিছু তো লেখায় হয়নি। তাই ওখান থেকে বের হয়ে পড়লাম। সময় একটু বেশিই লেগে গেল। ফিরতে ফিরতে সন্ধ্যা হয়ে গেছে।
সন্ধ্যা ৬ টা বেজে গেছে। এসে প্রথমে ওয়াস যেয়ে হাত মুখ ধুচ্ছি সেই সময় পকেটে রাখা সেই বস্তুটার কথা মনে হল। জিনিস টা খুব ময়লাযুক্ত। পানি দিয়ে ধোয়ার চেষ্টা করলাম। কিছুই হল না। না, এই ভাবে হবে না। আলাদা কিছু করা দরকার। টুথপেষ্ট দিলে কেমন হয়?
টুথপেষ্ট আর একটা পুরাতন ব্রাশ নিয়ে কাজ শুরু করে দিলাম। প্রথমবার টুথপেষ্ট লাগিয়ে ব্রাশ কিছুক্ষন ঘসলাম। কিছুটা পরিষ্কার হয়েছে। আরো কয়েক একই কাজ করলাম। পরিষ্কার ভালোই হচ্ছে। এভাবেই চলছে। একটা সময় যেয়ে টুথপেষ্ট আর বের হচ্ছে না। বুঝলাম টুথপেষ্ট শেষ।
এখন মোটামুটি ভালোই পরিষ্কার হচ্ছে। চক চক করছে। দেখতে অনেকটা সাদা হয়ে গেছে। ধুসর রঙের মত। বস্তুটাকে দেখে মনে হচ্ছে রুপা জাতীয় কোন জিনিস তবে আমি নিশ্চিত না। যদি কোন ভাবে সোনার টুকরো হয় তাহলে আমি জিনিস টা বেচে বড় লোক হয়ে যেতাম, তারপর পায়ের উপর পা তুলে সুপার কম্পিউটার চালাবো। তবে এটা মনে হয় হবে না। সোনা দেখতে আর ধুসর রঙের হয় না। আমার আর সুপার কম্পিউটার কেনা হল না।
আচ্ছা একটার বদলে যদি হাজার খানেক এক ধরনের বস্তু থাকত তাহলে এভাবে ব্রাশ ঘষতে ঘষতে বাকি জীবন টা পার হয়ে যাবে। এ জন্য একটা মেশিন বানালে কেমন হয়? পয়সা গুলো ভিতরে দেব আমাকে পরিষ্কার করে ফেরত দিয়ে দিবে। এই রকম মেশিন থাকলে ভালোই হত।
কিন্তু আমার জন্য তো ভালো হচ্ছে না। আমার কাছে তো একটা মাত্র বস্তু রয়েছে আর সেটা আমি আগেই পরিষ্কার করে ফেলেছি। এই জাতীয় মেশিন আমার দরকার নেই।
সব কিছু রেখে কম্পিউটারের সামনে বসলাম। ব্লগ টা লিখব।
আজকের বিষয় হচ্ছে Type Casting in Python। উপরে গল্প টা পড়েন তাহলে আপনি টাইপ কাস্টিং এর কনটেপ্ট ইতিমধ্যেই বুঝে গেছেন। সহজ ভাবে বললে, Type Casting হল ডাটার ডাটা টাইপ পরিবর্তন করা।
এখন আপনার কাছে যদি প্রশ্ন করি “200” এর ডাটা টাইপ কি?
উত্তর খুবই সহজ এটা তো নাম্বার। জি না, এটা নাম্বার না। খেয়াল করলে দেখতে পারবেন কোটেশনের ভিতরে আছে নাম্বার টা আছে। আর কোটেশনের ভিতরে যাই থাকুক , সেটা String।
এখন আপনার যদি এটাকে নাম্বার এ কনভার্ট করতে বলা হয় কি করবেন?
এটাও সহজ, কোটেশন তুলে দিব।
আপনার উত্তর ঠিক আছে । কিন্তু সমস্যার সৃষ্টি হবে, আমি যদি প্রশ্ন একটু পরিবর্তন করে দিই।
মনে করুন আপনি একটা সফটওয়্যার বানাচ্ছেন, সেখানে আপনাকে ডাটা ইনপুট নিতে হবে। সেটা নাম্বার এ নিতে হবে।
কি করবেন এখন? এখানে তো আর কোটেশন তুলতে পারবেন না।
একটা উদাহরন দিলে বিষয় টা বুঝতে পারবেন।
age = '20'
print(type(age))
এখানে আউটপুট আসবে <class 'str'>
। এখন এটা integer এ কনভার্ট করতে হবে। কিন্তু শর্ত হচ্ছে, প্রথম লাইনে কোড টাচ করা যাবে না।
এই টা করার জন্য পাইথনে int()
একটা ফাংশন আছে। নিচের কোডটা কপি করে রান করুন।
age = '20'
ageInteger = int(age)
print(type(ageInteger))
Output কি এসেছে?
int()
ফাংশন বাদেও আরো দুইটা ফাংশন আছে।
-
float()
ফাংশন ব্যবহার করা হয় float ডাটা টাইপে কনভার্ট করার জন্য। -
str()
ফাংশন ব্যবহার করা হয় string ডাটা টাইপে কনভার্ট করার জন্য।
এবার আপনি বাকি দুইটার practice করবেন এবং তাদের screenshot
কমেন্টে দিয়ে দিবেন।
যাক ব্লগ লেখা শেষ।
আমার একটা বন্ধু ফোন দিয়েছে কথার আদান প্রদান হল কিছুক্ষন। কথার এক পর্যায়ে জানতে পারলাম যে ওর কাছে যে বস্তু পেয়েছিলাম ওই টা পরিষ্কার করার একটা মেশিন আছে। শালার আচ্ছা মত গালি দিলাম। আগে জানালে আমার টুথপেষ্ট টা নষ্ট হত না। সময় ও বেছে যেত। আবার নতুন টুথ পেষ্ট কিনতে হবে।
Top comments (0)